ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে ধেছুয়া পালংয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি ◑

রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের পূর্ব ধেছুয়া পালং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ উন্নয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও বড়ডেবা গ্রামের মরহুম মাস্টার ছব্বির আহমদের পুত্র নিরহ যুবক এমদাদ উল্লাহ’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক জঘন্য মিথ্যাচার ও মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করে অপপ্রচার করার প্রতিবাদে স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ ও মসজিদ উন্নয়ন কমিটির যৌথ উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর রামু-মরিচ্যা সড়কের বড়ডেবা স্টেশনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগের নেতা কর্মী সহ শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও স্হানীয় নাগরিক সমাজ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে পূর্ব ধেছুয়া পালং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মতোয়াল্লী মুজিবুল হক সিকদার বলেন , কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি অবকাঠামো সহ বহুতল ভবন উন্নয়নে এমদাদ উল্লাহর অবদান রয়েছে।

ত্যাগ ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে মসজিদটি রাঘব বোয়ালের হাত থেকে মুক্ত করেছে। চিহ্নিত প্রতিপক্ষ গং প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এমদাদ কে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। এতে পুরো এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

খুনিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও পূর্ব ধেছুয়া পালং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি জহির উদ্দিন চৌধুরী বলেন এমদাদুল্লাহকে জড়িয়ে আর এস ও এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের সহযোগিতায় বিশাল কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে বলে পত্রিকায় যে যে সংবাদ ছাপিয়েছে তা অসত্য ও মানহানিকর। তিনি কখনো এ ধরনের গর্হিত কাজ জড়িত ছিল না।
কেবল মসজিদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় তাকে টার্গেট করে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে।

৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হামিদুল হক সিকদার বলেন, পত্রিকায় এমদাদ সম্পর্কে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা বিন্দুমাত্র সত্য নহে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মান্নানের সুযোগ্য পুত্র ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবুল বলেন এমদাদ নিষিদ্ধ সংগঠনে কোন প্রকার জড়িত নই। এটি তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
এদিকে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন এক পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশে রূপ নেন।

উপস্থিত স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসীরা জানান, পত্রিকায় এমদাদ উল্লাহর যে সব সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হাস্যকর। কেননা তার কোন গাড়ি, বাড়ি নেই। জায়গা ক্রয় করছে মর্মে সংবাদটিও সত্য নহে। পত্রিকায় সচিত্র ছবি ও ছাপানো সংবাদ দেখে প্রতীয়মান হয় এটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মনগড়া ও সাজানো গল্প। পত্রিকায় প্রকাশিত বাড়ি ও দোকানের ছবি তার মালিকাধীন নই। এ সম্পদের মালিক অন্যজন। এমদাদ উল্লাহ কে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এহেন অপচেষ্টা করা হয়েছে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, পূর্ব ধেছুয়া পালং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মতোয়াল্লী মুজিবুল হক সিকদার, মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা জিয়াউল হক, পূর্ব ধেছুয়া পালং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও খুনিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল হক সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হক সিকদার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সালাউদ্দিন বাবুল, সাবেক মেম্বার ফয়েজ উল্লাহ, স্থানীয় নাগরিক সমাজের পক্ষে আব্দুল মোনাফ, শাহ আলম, মাস্টার সুলতান আহমদ, রশিদ আহমদ, পূর্ব ধেছুয়া পালং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার নাছের উল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ আহমদ অন্যতম সদস্য সিরাজুল হক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল খালেক, সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি, যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দিন, দানু ড্রাইভার শ্রমিক লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন ও আবু মিস্ত্রি আব্দুল কাদের বাদশা মিয়া, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

গ্রামবাসীরা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, এমদাদ উল্লাহ”র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ একটিও প্রমাণ করতে পারবেনা। প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা উক্ত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।